১.
টেলিটকের কথা মনে হলেই দেশের জীর্ণ হয়ে যাওয়া সোনালী ব্যাংকগুলোর ছোট ছোট শাখাগুলোর কথা মনে পড়ে। আমি টেলিটকের প্রথম লটারি জিতে ব্যাংকে লাইনে ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িয়ে থেকে ছিম সংগ্রহ করে ছিলাম। অনেক আশা ছিল। কোন লাভ হয়নি। যেই লাউ সেই কদু। পরে আবার অন্য অপারেটরে সরে আসতে হয়েছিল। টেলিটকের একটা অর্ধমৃত ওয়েব সাইট ছিল। ওটাতে গুতিয়ে গুতিয়ে সহজে কোন তথ্য বের করতে পারতাম না। একটা হেল্প লাইন ছিল। ওটার কথা বলা শুরু করলে আজে বাজে শব্দ আসবে। আমি ব্লগে ঐসব শব্দ প্রকাশ করতে চাইনা।
২.
আজকে কী মনে করে দেশের মোবাইল কম্পানীগুলোর ওয়েব দেখছিলাম। টেলিটকের ওয়েবে (http://www.teletalk.com.bd/) দেখি বেশ জবরজং রং মেখে একটা ভর্তা বানিয়ে রেখেছে। অন্য কোম্পানীগুলোর ওয়েবের সাথে এর তুলনা করা ঠিক হবে না বিধায় ঐদিকে মোড় নিচ্ছি না। যাই হোক, একটা আনকোরা নতুন মার্কেটিং দেখে একটা পোষ্ট দেওয়ার জন্য মনটা আনচান করা শুরু করল। এই নতুন মার্কেটিং-এর নাম ‘সোনার চমক‘ !
৩.
তো এই সোনার চমক দেওয়া হবে যারা গোল্ডেন জিপিএ (সহজ কথায় সবগুলো বিষয়ে এ প্লাস বা জিপিএ ৫) পেয়েছে। হুমম! আইডিয়া খারাপ না। সোনার ছেলেমেয়েদের জন্য সোনার উপহার। এখন এই সোনার উপহারের ব্যাপারটি একটু তলিয়ে দেখা যাক। যেই যেই ছেলেমেয়েরা সোনার জিপিএ পেয়েছে তাদের http://www.golden-surprise.com/ এ রেজিস্টার করে নিজের পছন্দের নম্বর দিতে হবে। ভাগ্য ভাল হলে ঐ সোনার নম্বরের ছিমটি ঐ ছেলে বা মেয়েটিকে দেওয়া হবে। এখন কাহিনী হল সোনার নম্বরের অর্ধেকটা টেলিটক নিজে পছন্দ করবে আর শেষের চারটি অংক ঐ ছেলে বা মেয়ে পছন্দ করবে। আমি কিছুতেই বুঝতেছি না, তাহলে এইটা সোনার নম্বর হয় কিভাবে। সোনার নম্বর বলতে আমার মাথায় প্রথমেই যা আসে তাহল ০১৫ ২২৩৩ ৪৪৫৫ , ০১৫ ১২৩৪ ৫৬৭৮, ০১৫ ৬৬৬৬ ৯৯৯৯ ইত্যাদি। এমনিতেই টেলিটকের সার্ভিসের যেই অবস্থা তার উপর এত বাধাধরা নিয়ম মেনে কয়জন এই কার্যক্রমে অংশ নিবে তা নিয়ে আমার যথেষ্ঠ সন্দেহ আছে।
৪.
প্রশ্ন আসতে পারে, একটা কোম্পানী আগ বাড়িয়ে ফ্রি ছিম দিচ্ছে তাতে আমার সমস্যা কী? আমি কেন পোষ্ট লিখার মত বিষয় মনে করছি এই ব্যাপারটিকে? আমার এই রকম ভাববার বেশ কিছু কারন রয়েছে। একে একে বলা যাকঃ
* টেলিটক যেই মার্কেটে খেলছে তা কিন্তু বেশ প্রতিযোগীতামূলক। এই রকম মার্কেটে টিকে থাকার জন্য বেশ আটঘাট বেঁধে নামতে হয়। এই রকম মার্কেটিং কৌশল এই তীব্র প্রতিযোগীতায় টেলিটককে এগিয়ে নিতে পারবে না।
* টেলিটক যদি মনে করে সরকারি প্রতিষ্ঠান হওয়ায় তারা সব সময় সব দিক থেকে সবার থেকে বেশি সুবিধা পেয়ে এগিয়ে থাকবে তাহলে তাদের ধারনা গলদ।
* টেলিটক যেই সকল সুবিধা ভোগ করে সেগুলো অন্য কোন বেসরকারি মোবাইল কোম্পানী পেলে তারা কিন্তু পাংখা হয়ে যেত। সুতরাং, টেলিটককে তাদের সবল দিকগুলোকে ভাল করে চিহ্নিত করে দুর্বল দিকগুলোর দিকে নজর দিতে হবে।
* তাদের এই সব টক টক মার্কেটিং কৌশল পরিমার্জন করে নতুন নতুন মাকেটিং কৌশল বের করতে হবে। সেই জন্য টাকা খরচ করতে হবে। পরামর্শকদের সাথে আলোচনায় বসতে হবে। দেশের মানুষ যাতে করে দেশি মোবাইল ব্যবহার করে দেশের টাকা দেশের অর্থনীতিতে রাখে সেই ব্যবস্থা নিতে হবে।
৫.
আপনারা আশা করি টেলিটকের মিশন ও ভিশন স্টেটমেন্ট সম্পর্কে অবগত। না থাকলে আপনাদের সুবিধার্থে এইখানে পেষ্ট করলাম সরাসরি তাদের ওয়েব থেকেঃ
To innovate and constantly find new ways to enhance our services to our customer’s current needs and desires for the future. Our vision is to know our customers and meet their needs better than any one else.
এই স্টেটমেন্ট এর কত কাছে টেলিটক পৌঁছাতে পেরেছে এটা যারা টেলিটক ব্যবহার করছে বা ব্যবহার করেছে তারা ভাল বলতে পারবেন আশা রাখি।
শেষ কথা
আমি কিন্তু সত্যি সত্যি চাই টেলিটক ভাল করুক। বিদেশি কোম্পানীগুলোর উপর আমার কোন সহানুভুতি নাই। ওদের সাথে আমার সম্পর্ক খুবই সাধারণ। আমি পয়সা দিই আর ওরা আমাকে দেয় সার্ভিস। কিন্তু টেলিটককে নিয়ে আমার আশা আছে যে এটি আমাদের মত সাধারণ মানুষদের ইচ্ছাগুলো পূরণ করবে, ভাল সার্ভিস দিবে, নতুন নতুন প্রচারণার মাধ্যমে আরও মানুষকে অন্য অপারেটর থেকে নিজের নেটওয়ার্কে আনবে। কিন্তু এত সুযোগ পেয়েও যখন এরা গা বাতাসে এলিয়ে বেড়ায় তখন মেজাজ ঠিক থাকে না। এই সব গুঁতানো পোষ্ট লিখতে হয়। অসহ্য!
টেলিটকের কথা মনে হলেই দেশের জীর্ণ হয়ে যাওয়া সোনালী ব্যাংকগুলোর ছোট ছোট শাখাগুলোর কথা মনে পড়ে। আমি টেলিটকের প্রথম লটারি জিতে ব্যাংকে লাইনে ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িয়ে থেকে ছিম সংগ্রহ করে ছিলাম। অনেক আশা ছিল। কোন লাভ হয়নি। যেই লাউ সেই কদু। পরে আবার অন্য অপারেটরে সরে আসতে হয়েছিল। টেলিটকের একটা অর্ধমৃত ওয়েব সাইট ছিল। ওটাতে গুতিয়ে গুতিয়ে সহজে কোন তথ্য বের করতে পারতাম না। একটা হেল্প লাইন ছিল। ওটার কথা বলা শুরু করলে আজে বাজে শব্দ আসবে। আমি ব্লগে ঐসব শব্দ প্রকাশ করতে চাইনা।
২.
আজকে কী মনে করে দেশের মোবাইল কম্পানীগুলোর ওয়েব দেখছিলাম। টেলিটকের ওয়েবে (http://www.teletalk.com.bd/) দেখি বেশ জবরজং রং মেখে একটা ভর্তা বানিয়ে রেখেছে। অন্য কোম্পানীগুলোর ওয়েবের সাথে এর তুলনা করা ঠিক হবে না বিধায় ঐদিকে মোড় নিচ্ছি না। যাই হোক, একটা আনকোরা নতুন মার্কেটিং দেখে একটা পোষ্ট দেওয়ার জন্য মনটা আনচান করা শুরু করল। এই নতুন মার্কেটিং-এর নাম ‘সোনার চমক‘ !
৩.
তো এই সোনার চমক দেওয়া হবে যারা গোল্ডেন জিপিএ (সহজ কথায় সবগুলো বিষয়ে এ প্লাস বা জিপিএ ৫) পেয়েছে। হুমম! আইডিয়া খারাপ না। সোনার ছেলেমেয়েদের জন্য সোনার উপহার। এখন এই সোনার উপহারের ব্যাপারটি একটু তলিয়ে দেখা যাক। যেই যেই ছেলেমেয়েরা সোনার জিপিএ পেয়েছে তাদের http://www.golden-surprise.com/ এ রেজিস্টার করে নিজের পছন্দের নম্বর দিতে হবে। ভাগ্য ভাল হলে ঐ সোনার নম্বরের ছিমটি ঐ ছেলে বা মেয়েটিকে দেওয়া হবে। এখন কাহিনী হল সোনার নম্বরের অর্ধেকটা টেলিটক নিজে পছন্দ করবে আর শেষের চারটি অংক ঐ ছেলে বা মেয়ে পছন্দ করবে। আমি কিছুতেই বুঝতেছি না, তাহলে এইটা সোনার নম্বর হয় কিভাবে। সোনার নম্বর বলতে আমার মাথায় প্রথমেই যা আসে তাহল ০১৫ ২২৩৩ ৪৪৫৫ , ০১৫ ১২৩৪ ৫৬৭৮, ০১৫ ৬৬৬৬ ৯৯৯৯ ইত্যাদি। এমনিতেই টেলিটকের সার্ভিসের যেই অবস্থা তার উপর এত বাধাধরা নিয়ম মেনে কয়জন এই কার্যক্রমে অংশ নিবে তা নিয়ে আমার যথেষ্ঠ সন্দেহ আছে।
৪.
প্রশ্ন আসতে পারে, একটা কোম্পানী আগ বাড়িয়ে ফ্রি ছিম দিচ্ছে তাতে আমার সমস্যা কী? আমি কেন পোষ্ট লিখার মত বিষয় মনে করছি এই ব্যাপারটিকে? আমার এই রকম ভাববার বেশ কিছু কারন রয়েছে। একে একে বলা যাকঃ
* টেলিটক যেই মার্কেটে খেলছে তা কিন্তু বেশ প্রতিযোগীতামূলক। এই রকম মার্কেটে টিকে থাকার জন্য বেশ আটঘাট বেঁধে নামতে হয়। এই রকম মার্কেটিং কৌশল এই তীব্র প্রতিযোগীতায় টেলিটককে এগিয়ে নিতে পারবে না।
* টেলিটক যদি মনে করে সরকারি প্রতিষ্ঠান হওয়ায় তারা সব সময় সব দিক থেকে সবার থেকে বেশি সুবিধা পেয়ে এগিয়ে থাকবে তাহলে তাদের ধারনা গলদ।
* টেলিটক যেই সকল সুবিধা ভোগ করে সেগুলো অন্য কোন বেসরকারি মোবাইল কোম্পানী পেলে তারা কিন্তু পাংখা হয়ে যেত। সুতরাং, টেলিটককে তাদের সবল দিকগুলোকে ভাল করে চিহ্নিত করে দুর্বল দিকগুলোর দিকে নজর দিতে হবে।
* তাদের এই সব টক টক মার্কেটিং কৌশল পরিমার্জন করে নতুন নতুন মাকেটিং কৌশল বের করতে হবে। সেই জন্য টাকা খরচ করতে হবে। পরামর্শকদের সাথে আলোচনায় বসতে হবে। দেশের মানুষ যাতে করে দেশি মোবাইল ব্যবহার করে দেশের টাকা দেশের অর্থনীতিতে রাখে সেই ব্যবস্থা নিতে হবে।
৫.
আপনারা আশা করি টেলিটকের মিশন ও ভিশন স্টেটমেন্ট সম্পর্কে অবগত। না থাকলে আপনাদের সুবিধার্থে এইখানে পেষ্ট করলাম সরাসরি তাদের ওয়েব থেকেঃ
To innovate and constantly find new ways to enhance our services to our customer’s current needs and desires for the future. Our vision is to know our customers and meet their needs better than any one else.
এই স্টেটমেন্ট এর কত কাছে টেলিটক পৌঁছাতে পেরেছে এটা যারা টেলিটক ব্যবহার করছে বা ব্যবহার করেছে তারা ভাল বলতে পারবেন আশা রাখি।
শেষ কথা
আমি কিন্তু সত্যি সত্যি চাই টেলিটক ভাল করুক। বিদেশি কোম্পানীগুলোর উপর আমার কোন সহানুভুতি নাই। ওদের সাথে আমার সম্পর্ক খুবই সাধারণ। আমি পয়সা দিই আর ওরা আমাকে দেয় সার্ভিস। কিন্তু টেলিটককে নিয়ে আমার আশা আছে যে এটি আমাদের মত সাধারণ মানুষদের ইচ্ছাগুলো পূরণ করবে, ভাল সার্ভিস দিবে, নতুন নতুন প্রচারণার মাধ্যমে আরও মানুষকে অন্য অপারেটর থেকে নিজের নেটওয়ার্কে আনবে। কিন্তু এত সুযোগ পেয়েও যখন এরা গা বাতাসে এলিয়ে বেড়ায় তখন মেজাজ ঠিক থাকে না। এই সব গুঁতানো পোষ্ট লিখতে হয়। অসহ্য!
3 comments:
Sayeed Bhai, the problem is that these bengali fonts doesn't supports Mobile. :(
Will 've to wait a lot to get to pc.
Hmm...sorry for the inconveniene. Let's see what can be done!
Eid Mubarak 8)
You missed the first thing about that campaign. The students who passed 2008 HSC will get a number like this
0152008XXXX , the number will forever say that this student was a GPA 5 holder in 2008.
for your information, Teletalk distributed 8000 SIM that way, and 99% of them are active users.
Post a Comment